Header Ads

পুলিশ আইন ধারা ৭ ও সংজ্ঞা।

পুলিশ আইন

পুলিশ আইন, ১৮৬১ The Police Act V of 1861

ধারা ৭।
কোন অযোগ্যতা, দোষত্রুটি বা কর্তব্যে অবহেলার দরুন অধস্তন কর্মচারীকে চাকুরী হইতে যেকোন সময় বরখাস্ত অথবা সাসপেন্ড করিবার অথবা পদাবনতির আদেশ দিবার ক্ষমতা, সরকার কর্তৃক বিভিন্ন সময় প্রণীত নিয়ম সাপেক্ষে ইন্সপেক্টর-জেনারেল, ডিআইজি এবং পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্টের থাকিবে। ইহা ব্যতীত অসতর্কভাবে বা অবহেলা করিয়া কার্য করিবার দায়ে অধস্তন পুলিশ কর্মচারীকে তাঁহারা নিম্নলিখিত এক বা একাধিক শাস্তি দিতে পারিবেনঃ (ক)অনধিক এক মাসের বেতনের সমপরিমাণ জরিমানা। (খ)অনধিক ১৫ দিন পর্যন্ত ব্যারাকে আটক করা এবং গার্ডডিউটি অথবা অন্য কোন শ্রমসাধ্য কাজ দেওয়া। (গ)সদাচরণ বেতন হইতে বঞ্চিত করা। (ঘ)কোন বিশষ পদমর্যাদা বা ভাতা রহিত করা। দ্রষ্টব্যঃ চাকুরী হইতে বরখাস্ত (Dismissal) বা অপসারণের (Removal) আদেশ দিতে হইলে কিংবা পদাবনতির আদেশ দিতে হইলে কেবলমাত্র সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মচারীর নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষই উক্তরূপ আদেশ দিতে পারেন। তাঁহার নিম্নপদস্থ কোন অফিসার উক্তরূপ আদেশ দিতে পারেন না। উপরিউক্ত শাস্তিগুলির মধ্যে কতকগুলিকে ‘গুরুদন্ড’’ এবং ‘লঘুদন্ড-’ বলা হয়। নিম্নে এইগুলি আলোচনা করা হইলঃ গুরুদন্ডঃ (১) চাকুরী হইতে বরখাস্তকরণ, (২) অপসারণ, (৩) পদাবনতি, (৪ বেতনবৃদ্ধি স্থগিতকরণ, (৫)পদোন্নতি স্থগিতকরণ। লঘুদন্ড সতর্কীকরণ, তিরস্কার, অতিরিক্ত ড্রিল, ফেটিগ ডিউটি, আটক বা নজরবন্দী। গুরুদন্ড ও লঘুদন্ডের মধ্যে পার্থক্যঃ গুরুদন্ড এর শাস্তির বিরুদ্ধে আপীল করা চলে এবং ডিপার্টমেন্টাল প্রসিডিং করিতে হয়। লঘুদন্ডের বিরুদ্ধে আপীল নাই এবং লঘুদন্ড দিবার জন্য ডিপার্টমেন্টাল প্রসিডিং র্বজু করিবার প্রয়োজন হয় না। সাসপেনশন- অর্থাৎ কিছুদিনের জন্য কর্মচ্যুতিকে বিশেষ দন্ড বলা হয়। ইহা কোন সময় বৈধ বা সঙ্গত? কোন কর্মচারীর আচরণ সম্পর্কে তদন্ত চলাকালে তাহার চাকুরীতে থাকা যদি জনসাধারণের স্বার্থবিরোধী বলিয়া বিবেচিত হয় তাহা হইলে ইহা বৈধ সাসপেনশনকালে সাময়িকভাবে কর্তব্য ক্ষমতা থাকে না কিন্তু নিয়ম-কানুন সবই বলবৎ থাকে। ডিসমিস্যাল ও ডিসচার্জেও মধ্যে পার্থক্যঃ ডিসমিস্যাল হইলে সরকারি কাজে পুনরায় নিয়োগ নিষিদ্ধ হয় আর ডিসচার্জে তাহা হয় না। .

সকোল আইন একসাথে

No comments

Powered by Blogger.